২০২০ সালের ৫ টি সেরা অ্যান্ড্রয়েড হ্যাকিং অ্যাপ ! ( নতুন হ্যাকারদের জন্য দরকারি )




সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের নাম হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড এবং আপনি যদি ইথিক্যাল হ্যাকিং নিয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে
এটা আপনার জন্য সেরা সিস্টেম হতে পারে । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ৫টি
সেরা হ্যাকিং অ্যাপ যেখান থেকে ওয়াইফাই হ্যাকিং থেকে শুরু করে
ফোন মনিটরিং, ফোন রিমোট কন্ট্রোল, ওয়েব ব্রাউজিং মনিটরিংসহ নানাবিধ কাজ করতে পারবেন ।
তাহলে আর দেরি কেন ? চলুন অ্যাপগুলো সম্পর্কে এবার জানা যাক - 

Andro RAT 
এই অ্যাপের নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এটা অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের জন্য তৈরি করা হয়েছে  এবং
র‍্যাট বলতে Remote Administrative Tools বুঝাচ্ছে । এটি ফ্রি টুলসগুলোর মাঝে সবার উপরেই রয়েছে এবং
রিলিজ হয়েছে অনেক আগেই । এছাড়া এটা একটা ক্লায়েন্ট/সার্ভার অ্যাপ ।
আপনি যদি এটা কোন ডিভাইসে ইন্সটল করেন তাহলে সেই ডিভাইসের রিমোট আকসেস প্রদান করবে এবং
ভিকটিমের ফোন রিমোটভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন । 


এই অ্যাপটা ফোন বুট হওয়ার পরেই একটিভ হয়ে যায় এবং ইউজার কিছুই বুঝতে পারবে না এবং
আপনাকে এটা চালুও করতে হবে না আলাদাভাবে ।
ফোন কল কিংবা এসএমএস এর মাধ্যমে অ্যাপটি সার্ভার কানেকশন ট্রিগার করতে পারবে ।
এটা ফোনের কন্ট্রাক্ট লিস্ট, কল লগ, ম্যাসেজ, লোকেশন ডাটার একসেস করতে পারবে এবং
আপনি চাইলে এই অ্যাপের সাহায্যে ভিক্টিমের ফোন থেকে কল, এসএমএস সেন্ড করা,
ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তুলে নেয়া, ডিফলট ব্রাউজার ব্যবহার করে কোন লিংক ভিজিট করার মত
সুবিধাগুলো পেয়ে যাবেন । 


Hackode
এটা অনেকগুলো ইথিক্যাল হ্যাকিং টুলের সমন্বিত অ্যাপ ।
ইথিক্যাল হ্যাকার, আইটি এক্সপার্ট, পেনেট্রেশন টেস্টারদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ ।
এর তিনটি মডিউল হচ্ছে -  Security Feed, Scanning, Reconnaissance
এর সাথে অনেকগুলো ইউনিক হ্যাকিং অপারেশন রয়েছে ।
যেমন, MySQL Server, Google hacking, RSS Feed, MX Records, Whois, DNS Lookup,
DNS Dif, Exploits, IP ইত্যাদি । আপনি যদি নতুন হ্যাকিং শিখতে চান তাহলে এই অ্যাপটা আপনার জন্য ।
এটা রান করতেও কোন বিশেষ ব্যক্তিগত একসেস চাইবে না এবং খুব সহজেই
এর টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারবেন । 



WiFi Kill 
আপনি যদি শেয়ার ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন কোথাও তাহলে এটা স্বাভাবিক যে,
আপনি পূর্ণ ভাবে সেখানে ইন্টারনেট স্পিড পাবেন না ।
এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি যেকোনো ডিভাইসের ইন্টারনেট একসেস ডিসকানেক্ট করে দিতে
পারবেন খুব সহজেই ।

সত্যি বলতে, এটা ডিসকানেন্ট করবে না তবে সেই ডিভাইসে কোন প্যাকেট রিসিভ কিংবা সেন্ড হবে না ।
এতে করে আপনি পুরো স্পিড নিতে পারবেন । এর ব্যবহার খুবই সহজ । ইন্সটল করে দেখে নিতে পারেন । 


FaceNiff
ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের উপর নজরদারি করার জন্য এটা বেস্ট হ্যাকিং অ্যাপ ।
আপনার ওয়াইফাই লাইনে যুক্ত থাকা ডিভাইসগুলো টুইটার, ফেসবুক কিংবা
অন্য সামাজিক মাধ্যমে কে কি করছে সেটা খুব সহজেই আপনি দেখতে পারবেন এবং
এটা খুব বেশি হ্যাকাররা ব্যবহার করে থাকে । যারা অ্যাটাকার, তাদের কাছে এটা খুব পছন্দের একটা টুল এবং
ইউজারের কুকিজ চুরি করে তাদের অ্যাকাউন্টে অনধিকার প্রবেশ খুব সহজেই করতে পারে এরা । 




Nmap
এটা জনপ্রিয় ডেস্কটপ নেটওয়ার্ক স্ক্যানার টুল এবং এটা অ্যান্ড্রয়েড রয়েছে । আপনি যদি বিগিনার
লেভেলের হ্যাকার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ডিভাইসে এটা ইন্সটল থাকা খুব বাধ্যতামূলক ।
এই হ্যাকিং অ্যাপটি রুটেড কিংবা নন রুটেড সকল ডিভাইসেই ব্যবহার করা যাবে । 




একটা কথা বলে রাখা জরুরি, এইটা ব্যবহার করে কেউ খারাপ কাজ করলে
এর দায় লেখক কিংবা সাইট নিবে না । এটা সম্পূর্ণ শিক্ষামূলক আর্টিকেল এবং
এই সাইট কাউকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কারো ক্ষতি করতে উৎসাহ প্রদান করে না । ব্যবহারকারী নিজেই এর অনৈতিক ব্যবহারের জন্য দায়ী থাকবে । 

এই ছিল ২০২০ সালের সেরা ৫ টি অ্যান্ড্রয়েড হ্যাকিং অ্যাপ । আপনার কাছে যদি আরও কোন অ্যাপ থাকে
কিংবা জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না । ধন্যবাদ । 


২টি মন্তব্য:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.